দেশের কৃষকরা বিভিন্ন সময়ে অসুবিধায় পড়েন। তাদের প্রায় সব ধরনের অসুবিধার উত্তর মিলবে ‘খামারি’ অ্যাপসে বলে জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিসের (এআইএস) মিলনায়তনে ‘স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই প্রকল্পের কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান পূরবী মতিন। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের কৃষি উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’ এর উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক, চ্যানেল আইয়ের বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বিএজেএফের সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন প্রমুখ।

কৃষি সচিব বলেন, দেশের জমিগুলো অতি ক্ষুদ্র এজন্য অনেক ক্ষেত্রে বড় প্রযুক্তি জনপ্রিয় হয় না। সমবায় ছাড়া কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কৃষি মন্ত্রণালয় বা এর অধীনস্ত সংস্থাগুলো সীমালঙ্গনের কালচার থাকলে কৃষিতে এত সাফল্য আসত না।

কৃষি সচিব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৭ প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সাংবাদিকেরা এসব প্রতিষ্ঠানে তথ্য সংগ্রহ করে। তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান থাকা প্রয়োজন।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস সরবরাহ করতে পারে জানিয়ে ওয়াহিদা আক্তার বলেন, এআইএসের মতো প্রতিষ্ঠান অনেক মন্ত্রণালয়ের নেই। এআইএসে সাংবাদিকদের আসা ও বসার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিষ্ঠানটিতে সাংবাদিক-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। কৃষি তথ্য সরবরাহ করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ। প্রতিষ্ঠানটিকে এখন থেকে সেই কাজ সঠিকভাবে করতে হবে।